চ্যানেল আই অনলাইন
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান বাদশার চাকরির দায়িত্ব নিয়েছে ছাত্রলীগ। সোমবার দিবাগত রাতে সংগঠনের বর্ধিত সভায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী জামাত-শিবিরের নির্মমতার শিকার হন তিনি। ঘটনার দিন জামাত-শিবিরের অতর্কিত হামলায় নিহত হয় রাবি ছাত্রলীগের কর্মী গণিত বিভাগের ছাত্র ফারুক হোসেন। আর হাত পায়ের রগ কেটে দেয় বাদশা এবং ফিরোজ নামে আরেক কর্মীর। এছাড়া বিভিন্নভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়১৫-২০ জন নেতা কর্মীকে। মর্মান্তিকভাবে আহত বাদশাসহ অন্যরা দীর্ঘদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে কোন মতে বেঁচে গেলেও পঙ্গু হয়ে যান তিনি।
গত রোববার বুয়েট অডিটরিয়ামে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়। টানা দুইদিনব্যাপী এই কর্মশালার শেষ দিনের আলোচনার ফাঁকে সাইফুর রহমানের চাকরির বিষয়টি সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন সংগঠনের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
যোগ্যতা অনুসারে তাকে যথাযথ চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এসময় সংগঠনের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারি সাইফুর রহমান শেখরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার গোলাম রাব্বানী বলেন, শিবিরের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান বাদশার জন্য একটি চাকরি বা উপযুক্ত কর্মসংস্থান এর দায়িত্ব নিয়েছে ছাত্রলীগ। এমন ন্যায্য মানবিক আবেদনে ইতিবাচক সাড়া দেয়ার জন্য সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই। দেশের কোথাও ছাত্রলীগ এর কোন ভাই-বোন অসহায় নয়, একা নয়।
গত রোববার বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘অপকর্ম’ থেকে দূরে রাখতে টাকা, চাকুরি- যা দরকার তার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এমন ঘোষণার পর তার কাছে চাকরি চেয়ে খোলা চিঠি দেন বাদশা। ওই চিঠিতে তিনি নিজের চরম দুর্দশা এবং সংগ্রামের বিষয় তুলে ধরেন।
পড়াশোনা শেষ করে কোনো চাকরি না পেয়ে বর্তমানে বর্গা চাষ করে কোনো রকম দিন পার করছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। চিঠিতে পরিবার নিয়ে জীবন ধারনের জন্য অন্তত একটি পিয়ন বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর চাকরি হলেও ব্যবস্তার করার জন্য ওবায়দুল কাদেরের প্রতি আবেদন জানানো হয়। তার এ্ই খোলা চিঠি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ত্যাগী ও যোগ্যদের ছাত্রলীগ সব সময় মূল্যায়ন করে থাকে উল্লেখ করে এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, যে কোন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর যেকোন অসুবিধা ছাত্রলীগ গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে। মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে ছাত্রলীগ সব সময় থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।